|
Date: 2023-12-02 10:09:40 |
বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা নিম্নচাপটি এবার গভীর নিম্নচাপে পরিনত হয়েছে। এর কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ০১ (এক) নম্বর (পুন:) ০১ (এক) নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তি, ক্রমিক নম্বর-০৬ এর মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্ৰ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি আরো পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে একই এলাকায় (১০.৬° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৪.১° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আগ সকাল ০৯ টায় (০২ ডিসেম্বর ২০২৩) চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫৫০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৪৯০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১৪৫০ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৪৪০ কি.মি. দক্ষিণদক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হতে পারে।
গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০কি.মি., যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০কি. মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. ইমাম উদ্দিন টিটিএনকে জানান, সাধারণত লঘুচাপ থেকে নিম্নচাপ, এর পরের ধাপে গভীর নিম্নচাপ এবং এরপরের ধাপে সেটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিনত হয়। বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত বর্তমান গভীর নিম্নচাপটি রোববারের দিকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিনত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদি ঘূর্ণিঝড়ে পরিনত হয় তবে ৪ বা ৫ ডিসেম্বরের দিকে এটি উপকূলে আঘাত হানতে পারে। আর বর্তমান গতিপথ পরবর্তন না করলে বাংলাদেশের উপকূলে এটির আঘাত হানার সম্ভাবনা কম।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের জন্য ২০০৪ সাল থেকে বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরের উপকূলবর্তী দেশগুলো মিলিতভাবে ঝড়ের নামকরণ শুরু করে। সে সময় আটটি দেশ সম্মিলিতভাবে মোট ৬৪টি নাম প্রস্তাব করে। এই নামগুলো শেষ হলে আবারও নতুন করে নামের প্রস্তাব করা হয়। যা অনুমোদন দেয় বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা-ডব্লিউএমও। দেশগুলোর বৈঠকে এক বা একাধিক সিনিয়র আবহাওয়া কর্মকর্তা অংশ নিয়ে থাকেন। তারা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেন, কী নাম হবে। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে সেই তালিকা থেকে ঝড়ের নাম বাছাই করা হয়।
সে অনুযায়ী যদি বর্তমানে বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি ঘুর্ণিঝড়ে পরিনত হয়, তার নাম হবে মিগজাউম। এটি মিয়ানমারের দেয়া নাম। এর আগে সবশেষ গত ১৭ নভেম্বর মিধিলি নামের ঘুর্ণিঝড় বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানে। এ নিয়ে এ বছর ৩টি ঘুর্ণিঝড় দেশের উপকূলে আঘাত হানল।
© Deshchitro 2024