যশোরে অভয়নগরের তকব্বর মোল্যার শাপলা বিক্রি করে উপার্জিত অর্থে সাচ্ছন্দ্যে  সংসার চলাচ্ছেন। তিনি পনেরো  বছর আগে থেকে বর্ষামৌসুমে শাপলা বিক্রি শুরু করে। শাপলা বিক্রি  তার মৌসুমি আয়ের একটি উৎস। প্রতিবছরের মতো এবারো  অভয়নগর উপজেলার শ্রীধরপুর  ইউনিয়নের কামকুল গ্রাম এলাকার তকব্বর মোল্যা জীবিকা নির্বাহ করছেন। দীর্ঘ পনেরো বছর যাবৎ তিনি এ শাপলা ফুল তুলে বাজারে বিক্রয় করে নিজেকে বেশ সাফল্যই মনে করছেন।

গ্রামীণ জনপদের হাট বাজার গুলোতে বিল থেকে সংগ্রহ করা শাপলা  তুলে এলাকার বিভিন্ন বাজারে বিক্রয় করেন। শাপলা বিক্রি করে ব্যপক উন্নয়ন ঘটেছে তার সংসারে। বর্তমান সময়ে দ্রবমুল্যের উর্ধগতি তে স্থবির হয়ে পড়েছে গ্রামীন জনজীবন।

বিশেষ করে কাঁচা তরিতরকারি খাদ্য তালিকায় প্রতিদিনের একটি অপরিহার্য খাদ্য।  বর্তমান সময়ে উর্ধগতির বাজারে মেঠো  শাপলা সাধ্যের মধ্যে হওয়ায় বেড়েছে ব্যাপক চাহিদা। 

এই চাহিদা সম্পন্ন তরকারি হাটে ও বাজারে বেশ চাহিদা রয়েছে। তাই এ কাজটি তার নিকট খুবই পছন্দের।তিনি বলেন এই কাজ ছাড়া আর কি করবো,পনেরো বছর যাবৎ এ শাপলা ফুল তুলে বেশ লাভবান হয়েছি, দিনে প্রায় ৪০০ শত টাকা থেকে  ৫০০শত টাকা আয় হয়।আমার কাছে ভালোই লাগে। 

কামকুল গ্রামের মেশারফ সরদার বলেন, গ্রামের বিল থেকে শাপলা তুলে বাজারে বিক্রয় করে তার সংসারে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটেছে। দুই তিন মাস ছাড়া বছরের প্রায় সময়ই শাপলা পাওয়া যায়।

জাতীয় ফুল শাপলা  দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি তরকারি হিসাবে এটি খেতে বেশ সুস্বাদু।শাপলা তরকারি হিসেবে কেউ খায় শখ করে আবার কেউ খায় অভাবে পড়ে।গ্রামীণ জনপদের  অভাবগ্রস্ত বা নিতান্তই গরিব মানুষেরা বর্ষা মৌসুমে ডোবা জমি অথবা বিল থেকে শাপলা তুলে তা দিয়ে ভাজি ভর্তা ছাড়াও বিভিন্নভাবে তরকারি হিসাবে ভাতের সাথে আহার করে থাকেন।

বর্ষা মৌসুমে  কৃষি জমি পানির নিচে তলিয়ে থাকায় এ মৌসুমে শাপলা ব্যাপক ভাবে জন্মেছে ডুবে থাকা ফসলি জমি ও বিলে।কৃষকের তেমন কোন কাজ না থাকায় অনেকেই শাপলা সংগ্রহে ব্যাস্ত সময় পার করছেন। এ পশায় কোন পুঁজির প্রয়োজন না হওয়ায় তাই বিভিন্ন বয়সের মানুষ  মৌসুমি ব্যাবসা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। 

এই বর্ষায় উপজেলার বিভিন্ন খালে বিলে শাপলা ফুল ফুটেছে সৌন্দর্য আর নয়নাভিরাম দৃশ্য নিয়ে।যা দেখে মুগ্ধ গ্রামীণ জনপদের প্রকৃতি প্রেমিরা। এ ফুল শিশুদের নিকট খুবই পছন্দের।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024