|
Date: 2023-11-02 17:30:59 |
বিশ্বের প্রভাবশালী টাইম ম্যাগাজিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, সত্তরোর্ধ্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের রাজনীতিতে অবিসংবাদিত এক নাম। তার নেতৃত্বে ১৭ কোটি মানুষের বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত পাট উৎপাদনকারী দেশ থেকে এশিয়া-প্যাসিফিকের দ্রুততম প্রসারণশীল অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে। এছাড়া ম্যাগাজিনটির প্রচ্ছদে প্রধানমন্ত্রীর ছবি ছাপা হয়েছে।
‘শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ’ নামে বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। গত সেপ্টেম্বরে টাইম ম্যাগাজিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি সাক্ষাৎকার নেয়।
এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন বিস্ময়কর রাজনৈতিক নেতা যিনি গত এক দশকে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে দ্রুততম বর্ধমান অর্থনীতির দেশ হিসেবে বাংলাদেশের ব্যাপক উত্থান ঘটিয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৯ সাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দায়িত্ব নেওয়ার আগেও ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালে তিনি ক্ষমতায় ছিলেন। দেশটির রাজনীতিতে এক সময়ের হস্তক্ষেপকারী সামরিক শক্তি এবং ইসলামপন্থীদের মোকাবিলা করে কৃতিত্বের সঙ্গে দীর্ঘ এই সময় তিনি সরকারপ্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন। বৃটেনের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার কিংবা ভারতের ইন্দিরা গান্ধীর চেয়ে বেশিবার নির্বাচনে জয়ী হওয়া শেখ হাসিনা আগামী বছরের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনে আবারও জয়ী হওয়ার ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এ ব্যাপারে তিনি বলেছেন, ‘আমি আত্মবিশ্বাসী এ কারণে যে, আমার দেশের লোকজন আমার সঙ্গে আছে। তারা আমার প্রধান শক্তি।’
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সমর্থকরা নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে; এসব ঘটনায় গ্রেফতার শতাধিক। পুলিশের যানবাহন এবং বাসেও আগুন দেওয়া হয়েছে। এসব ঘটনায় প্রাণ গেছে কয়েকজনের। বিএনপি ২০১৪ এবং ২০১৮ উভয়ক্ষেত্রেই নির্বাচন বয়কট করার কথা জানিয়েছে। তাদের দাবি, শেখ হাসিনা যেন নির্বাচন পরিচালনার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।
এদিকে, বিগত বছরগুলোতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ১৯ বার গুপ্তহত্যার চেষ্টা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে টাইম ম্যাগাজিন। প্রতিটিতেই কোনোরকমে প্রাণে বেঁচে গেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। এর মধ্যে ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রামের লালদিঘি ময়দানের কাছে, ১৯৮৯ সালের ১১ আগস্ট ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু ভবনে, ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ঈশ্বরদী ও নাটোর রেলস্টেশনে, ১৯৯৫ সালের ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর রাসেল স্কয়ারে, ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে, ২০০০ সালে এক জনসভাস্থল ও হ্যালিপ্যাডে, ২০০১ সালের ২৯ মে খুলনায়, একই বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর সিলেটে, ২০০২ সালের ৪ মার্চ নওগাঁয়, ২০০৪ সালের ২ এপ্রিল বরিশালে এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে হামলা চালিয়ে হত্যাচেষ্টা করা হয়।
© Deshchitro 2024