|
Date: 2023-11-01 08:43:59 |
প্রাচীনকালে রাজ দরবারে উন্মুক্ত বিচারকার্য পরিচালনা করা হতো। রাজা নিজেই থাকতেন প্রধান বিচারক। সমাজ বিবর্তনের সঙ্গে বিচারকার্যের ভার বিচারকের ওপর অর্পিত হয়। কালের বিবর্তনে বর্তমানে আধুনিক যেকোনো রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গ থাকে- নির্বাহী বিভাগ, আইন বিভাগ ও বিচার বিভাগ। এই তিনটি অঙ্গ, বিশেষ করে স্বাধীন বিচার বিভাগ থাকা সভ্যসমাজেরও একটি বৈশিষ্ট্য। রাষ্ট্রের শাসন-প্রশাসনসহ উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নির্বাহ বা পরিচালনা করা নির্বাহী বিভাগের আওতায় পড়ে। আইন বিভাগের কর্মপরিধি সংসদে যেকোনো আইন প্রণয়নের মধ্যে সীমাবদ্ধ। অবশ্য সংসদীয় পদ্ধতির সরকারব্যবস্থায় সংসদ সদস্যরা সংসদীয় কমিটি এবং সরকারের প্রশাসনিক আদেশের মাধ্যমে নির্বাহী বিভাগের কাজকর্ম নজরদারি করার সুযোগ পেয়ে থাকেন। আর যেকোনো আইনি জটিলতা কিংবা বিবাদ-বিসম্বাদ নিষ্পত্তির জন্য বিচার বিভাগের আবশ্যকতা দেখা দেয়।
বাংলাদেশের নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথক করতে একটি রিট করেছিলেন সাবেক জেলা জজ মাসদার হোসেন। মামলাজট কমানোর পাশাপাশি স্বাধীন বিচার বিভাগ চাওয়াই ছিল এ রিটের মূল চাওয়া। ১৯৯৪ সালে রিটটি দায়ের করেন তিনি। পরবর্তীতে চূড়ান্ত শুনানি করে ১৯৯৯ সালে নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ আলাদা করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা হয়ে ৩০১ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা নিয়ে বিচার বিভাগের কার্যক্রম শুরু হয়।
© Deshchitro 2024