|
Date: 2023-10-26 07:55:29 |
ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত কক্সবাজার উপকূল অঞ্চল পরিদর্শন করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (২৬অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে একটি বেসরকারি একটি বিমানে করে তিনি কক্সবাজার পৌঁছান।
স্থানীয় সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন কবরবেন করেছেন ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান। তিনি কক্সবাজার শহরের সমিতি পাড়া ও কুতুবদিয়া পাড়া ঘুরে দেখার পর সদর ও মহেশখালী উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করবেন।
এদিকে জেলা প্রশাসন বলছে, আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বিভিন্ন বরাদ্দের কাজ চলছে।
জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে জেলার ৭০টি ইউনিয়ন, কক্সবাজার ও মহেশখালী পৌরসভার ৩৭ হাজার ৮৫৪ বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫ হাজার ১০৫টি এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩২ হাজার ৭৪৯টি বাড়ি-ঘর। এতে ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৫৪৯ জন মানুষ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এ পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
হামুনের তাণ্ডবে পল্লী বিদ্যুতের ৩৫৪টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে গেছে। বিকল হয়েছে ২৩টি ট্রান্সফরমার। ৪৯৬ স্থানে বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে গেছে। ৮০০টি স্থানে গাছ পড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মহেশখালী, কুতুবদিয়া ও কক্সবাজার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সমিতি পাড়া, কুতুবদিয়া পাড়া এলাকা।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, ক্ষতিগ্রস্ত কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও কক্সবাজার শহরের সিংহভাগ এলাকায় এখনো বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়নি। খাবার ও পানীয়জলসহ নানা সংকটে রয়েছে মানুষ। বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক না থাকায় মোবাইল নেটওয়ার্কও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
© Deshchitro 2024