|
Date: 2023-10-18 09:47:15 |
রুটপারমিটবিহীন বাস চলাচল বন্ধসহ বিভিন্ন দাবিতে চট্টগ্রাম-দক্ষিণাঞ্চল-কক্সবাজার-বান্দরবান জেলা সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকা ১২ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট চলছে কক্সবাজারসহ ২৬ টি রুটে।
বুধবার সকাল থেকে শুরু হওয়া ধর্মঘটে বিপাকে পড়েছে পেশাগত কারণে নিয়মিত চট্টগ্রাম শহরে যাতায়াতকারি ও কক্সবাজারে ঘুরতে আসা পর্যটকসহ এই রুটের যাত্রীরা। একইসাথে কক্সবাজারগামী যাত্রীরাও পড়েছে ভোগান্তিতে।
সকালে কক্সবাজার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায় রাস্তার দু’পাশে সারি সারি রাখা হয়েছে বাস। অন্যদিকে কাউন্টারে কাউন্টারে ঘুরছে কক্সবাজারে ঘুরতে আসা পর্যটকরা। কক্সবাজারে ঘুরতে এসে ধর্মঘটের কারণে বাড়তি ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে তাদের।
বাস সংশ্লিষ্ট সংগঠনের নেতারা জানান, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে যেটি কেন্দ্রীয় নির্দেশে সন্ধ্যা ৬টার চলমান থাকবে।
ধর্মঘটের দাবিগুলোর মধ্যে আছে- সাধারণ বাসকে ডবল ডেকার বাস (স্লিপিং কোচ) বানিয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-টেকনাফের অপ্রশস্থ সড়কে চলাচল নিষিদ্ধ করা, চট্টগ্রাম জেলার বাইরে থেকে আসা এসি/নন এসি বাসগুলোতে লোকাল রুটের যাত্রী পরিবহন বন্ধ, মহাসড়ক ও উপ-সড়কে সিএনজি ও ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা, ইজি বাইক, টমটম চলাচল বন্ধ করা, মহাসড়কের পাশে অবৈধ হাটবাজার উচ্ছেদ, ঢাকা-চট্টগ্রামে একই ট্রাফিক আইনে ‘জরিমানা বৈষম্য’ নিরসন, খোলা ট্রাকে লবণ পরিবহন নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন, পুলিশের ‘রিকুইজিশন বাণিজ্য’ বন্ধ করা, চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল সংস্কার ও কক্সবাজার পৌর বাস টার্মিনালে ময়লা আবর্জনার স্তূপ অবিলম্বে পরিষ্কার করা।
সংগঠনের নেতারা পূর্বঘোষিত ধর্মঘট বললেও ক্ষুদ কমিশন কাউন্টারের দায়িত্বরত এই ব্যক্তিও জানেন না, কবে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন কবে থেকে শুরু।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইয়ামিন হোসেন বলেন, পর্যটক আটকা পড়ার বিষয়টি তিনি শুনেছেন এবং খাতিয়ে দেখছেন।
পযর্টন শহরের ধর্মঘটের নামে এমন ভোগান্তি পর্যটকদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
© Deshchitro 2024