মানুষের একান্ত নিজের বলতে 'মৃত্যু' ছাড়া আর কিচ্ছু নেই৷ একসময় বন্ধুত্বের সঙ্গাটা ব্যাপক ছিলো। বন্ধু বলতে বুঝতাম; স্কুল -কলেজ,  যাদের সাথে বড়ো হয়েছি সবাইকে। বুঝ ক্ষমতার উন্নয়নের সাথে সাথে সঙ্গার পরিধি ছোট করলাম। বন্ধু বলতে বুঝলাম গুটি কয়েকজনকে।  যারা সবসময় পাশে ছিলো। 


পরিবারের সঙ্গাটাও একই। বাবা-মা & আত্মীয়স্বজন সবাইকে পরিবারের অন্তর্ভুক্ত ভাবতাম। তারপর দিনশেষে বুঝলাম, মা-বাবা & ভাই-বোন তাদের সমন্বয়েই পরিবার৷ যারা সর্বদা আমাকে নিয়ে ভাবে। আমার অনুভূতির দিকে খেয়াল রাখে। আমার ব্যথায় ব্যাথিত হয়৷ 

আর আত্মার-আত্মীয় বলতে আমি আমার মা'কেই বুঝি৷ জীবনে পাওয়া ব্যথার প্রথর তপ্ত রোদে ছায়া হয়েছিলেন তিনি৷ সবাই চলে যাক, আমি মরুভূমির মধ্যে একা দাঁড়িয়ে থাকি, তবুও চাইনা তিনি আমাকে ভুল বুঝুক, ভুলে যাক! ভালোবাসায় কমতি আসুক!!


মনে ক্ষোভ রেখে সুখ পাওয়া যায়না। কারোর প্রতি তীব্র ঘৃণা নিয়ে অংকের হিসাব কষতে বসলে সমাধান মিলবে না৷  কে দিলো! কতজন পাশে থাকলো! কে সাহায্য করলো!  কে ভাবলো! এসবের হিসাব না কষে যারা সর্বদা পাশে থাকে তাদের নিয়ে ভাবুন। এক জীবনে সবাই প্রিয় হয়না। সবার প্রিয় আমরা হতেও পারি না৷ 

গুটিকয়েক মানুষ আছে যারা আমাদের কাছের! তাদের অনুভূতির দিকে খেয়াল রাখুন, তাদের নিয়ে কাজ করুন, তাদের নিয়ে ভাবুন! জীবন সুন্দর।  সুখী হতে হাজার মানুষের প্রয়োজন নেই৷


 বন্ধু একজন থাক;তবুও স্বার্থপর না থাক!


 কি দরকার এতো পাওয়া না পাওয়ার হিসাব কষে? জীবনে না চেয়েও যা পেয়েছি; তাও বা কম কিসে? 

আমি তোমার অপেক্ষায়, আর তুমি আমার নতুবা অন্য কারোর;ওদিকে মহান মালিক ফিরে আসার অপেক্ষায় ;------ আমাদের!! 

খুব নিঃস্ব লাগছে? মনে হচ্ছে আপন কেউ নাই?কে বলেছে কেউ নাই? 

রব আছেন ত! ;---- আর কি চাই? 

স্রষ্টার সৃষ্টি থেকে স্রষ্টা অধিক গুরুত্বপূর্ণ! স্রষ্টাকে পেলে সৃষ্টির কি প্রয়োজন?


লেখা,

ফাউজিয়া আফিফা শেফা 

সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ১৪তম ব্যাচ। 

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংংপুর

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024