জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার পদে অবসরপ্রাপ্ত  ড. কামালউদ্দিন আহমদকে পূণরায় নিয়োগ না দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসরদের মধ্য থেকেই কাউকে নিয়োগ দেয়ার দাবি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (জবিশিস)। 


গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির লাউঞ্জে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।


সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. একেএম লুৎফর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ১৫৬ জন প্রফেসর রয়েছেন। এরমধ্যে দুইজন প্রফেসর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি এবং দুইজন ভিসি হিসেবে সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়া প্রাইভেট বিশ্বদ্যিালয়ের ভিসিও প্র ভিসি পদে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন প্রফেসর বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া অতীতেও বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি, প্র-ভিসি ও ট্রেজারার পদে দায়িত্ব পালন করেছেন অনেক প্রফেসর। 


তিনি আরও বলেন, অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাতে হচ্ছে যে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ট্রেজারার ড. কামালউদ্দীন আহমদের সময়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এবং দ্বিতীয় ক্যাম্পাস প্রকল্পের কাজে  নানা অনিয়মসমূহ বিভিন্ন গণমাধ্যম ও পত্র-পত্রিকায় উঠে এসেছে।


এছাড়াও দরপত্র মূল্যায়ন কমিটিতে ট্রেজারার  ড. কামালউদ্দীন আহমদ আহ্বায়ক থাকা অবস্থায় সাকা চৌধুরীর পরিবার সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে লেকের টেন্ডার দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণে আইন ও বিধিবিধান অনুসরনে ব্যর্থ হয়েছে এবং চরম অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছে বলে পরিকল্পনা কমিশন কর্তৃক গঠিত প্যানেল রায় দিয়েছে। ট্রেজারারকে কমিটি থেকে বাদসহ আর্থিক জরিমানাও করা হয়েছে। এতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। আমরা পিছিয়ে পড়ছি প্রশাসনিক দুর্বলতার কারণে।


 সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. আইনুল ইসলামসহ বাকি নেতৃবৃন্দরা বক্তব্য প্রদান করেন। ##

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024