|
Date: 2023-09-13 10:53:25 |
রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাস্টমসের গুদাম থেকে ৫৫ কেজি সোনা চুরির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ও সিপাহীসহ আটজনের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসানের আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আসামিরা হলেন- সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, সাইদুল ইসলাম সাহেদ, আকরাম শেখ, মাসুম রানা এবং সিপাহী মোজাম্মেল হক, নিয়ামত হাওলাদার, রেজাউল করিম, আফজাল হোসেন।
আদালতের বিমানবন্দর থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোজাফফর আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এরআগে, মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) গ্রেফতার চার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাকে (এআরও) বরখাস্ত করেছে ঢাকা কাস্টমস হাউস কর্তৃপক্ষ। সংস্থার কমিশনার এ কে এম নুরুল হুদা আজাদের স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। বরখাস্ত চার কর্মকর্তা হলেন, সাইদুল ইসলাম সাহেদ, শহিদুল ইসলাম, মাসুম রানা ও আকরাম শেখ। তাদের সবার বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা ও উর্ধতন কর্তৃপক্ষের আদেশ অমান্য করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এদিকে, বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গ্রেফতারদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ৯৪ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কাস্টমসের চার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ও গুদামের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা চার সিপাহিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় ৯৪ ভরি সোনা।
ডিবি প্রধান হারুন বলেন, বিমানবন্দরে কাস্টমসের গুদাম থেকে স্বর্ণ চুরির ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় দায়ের হওয়া মামলা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তরা বিভাগ তদন্ত করছে।
তিনি বলেন, মামলার তদন্তের জন্য আমরা আট জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এনেছিলাম। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ৮ জনকেই গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তাদের আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। রিমান্ড পেলে আমরা তাদের আবারও জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও স্বর্ণ উদ্ধারের চেষ্টা করবো।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) সোনা চুরির এ ঘটনা ঢাকা শুল্ক বিভাগের নজরে আসে। তবে বিষয়টি জানাজানি হয় পরদিন রোববার। বিমানবন্দরের কাস্টম হাউজের নিজস্ব গুদামে দিনভর গণনা শেষে ৫৫ কেজি সোনা চুরি বা বেহাত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত হয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে অজ্ঞাতদের আসামি করে। পুরো ঘটনা তদন্তের জন্য যুগ্ম-কমিশনার মিনহাজ উদ্দীনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি টিম গঠন করেছে কাস্টমস হাউজ।
সোনা লোপাটের ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা করেছে কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ। মামলাটি তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরই মধ্যে কাস্টম হাউসের তিন কর্মীর জড়ির থাকার আলামত পেয়েছে পুলিশ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালে উদ্ধার হওয়া ৪৮টি ডিএম বার- যার মোট ওজন ৮.০২ কেজি ও ২০২০ থেকে ২০২৩ সালে বিভিন্ন সময়ে আটক ৩৮৯টি ডিএম বার- যার মোট ওজন ৪৭.৪৯ কেজি স্বর্ণ আলমারির লকার ভেঙে চুরি হয়েছে। গত ২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ১২টা ১৫ থেকে সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের মধ্যে কে বা কাহারা বর্ণিত স্বর্ণবার ও স্বর্ণালঙ্কার গোডাউন থেকে স্টিলের আলমারির লকার ভেঙে চুরি করেছে।
© Deshchitro 2024