ডেঙ্গু ও শিশুর জ্বর

পর্ব-১ : সাপোসিটরি দ্রুত জ্বর কমায় না

‘ডাক্তার সাহেব, কান্তার জ্বর 100° হওয়াতে দুচামচ প্যারাসিটামল দিলাম। জ্বর তো কমল না, উল্টো শরীর কেঁপে কেঁপে ১০৩°-এর ওপরে উঠে গেল আধ ঘণ্টার মধ্যে। তাড়াতাড়ি একটা সাপোসিটরি দিলাম ২৫০ মিলিগ্রাম। ঘণ্টাখানেক পর ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ল।’

মুখে খেতে পারে?

‘হ্যাঁ। পারে।’

তাহলে সাপোসিটরি দিলেন কেন?

‘দিব না! এত জ্বর। তাড়াতাড়ি জ্বর কমার জন্য, এই যে প্রেসক্রিপশন Suppository-250 mg if temperature is 103°F

আমি প্রেসক্রিপশনটা দেখলাম। চিকিৎসক এভাবেই লিখেছেন।

তাকে ছোট্ট করে বললাম সাপোসিটরি দিলে আর মুখে প্যারাসিটামল খেলে জ্বর কমতে সমান সময়ই লাগে।

কান্তার মায়ের চোখে প্রশ্ন আর খানিকটা সন্দেহ। স্বগোতক্তি শুনলাম ‘জ্বর বেশি হলে তো আমি সাপোসিটরি দেই।’

আরেকটু স্পষ্ট করতে হয় সাপোসিটরি দিলে যতক্ষণে জ্বর কমে, মুখে খেলেও ততক্ষণে জ্বর নামে। অর্থাৎ সাপোসিটরি আর সিরাপ/ট্যাবলেটের কার্যকারিতা একই।

‘কিন্তু জ্বর যদি ১০৩°-১০৪° ফা. হয়ে যায়! তখন তো সাপোসিটরি লাগবে? সাপোসিটরি তাহলে কখন দেব?’

একই প্রশ্ন আবার করলেন। কয়েকভাবে। সংশয়-বিস্ময় কিছুতেই কাটছে না। এখন আরেকটু বিস্তারিত করলাম তখনো একই কথা। বাচ্চা মুখে খেতে পারলে মুখে ওষুধ খেতে পারলে মুখে খাওয়ান। আর না পারলে বা বাচ্চা খেতে না চাইলে সাপোসিটরি দিন। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সাপোসিটরি তো দিতেই হবে, যেমন জ্ব¦রজনিত খিঁচুনি, বারবার বমি হচ্ছে, মুখে ঘা, গিলতে পারে না, শিশু অজ্ঞান হলে। শিশু স্বাস্থ্যবিষয়ক বিখ্যাত গবেষণা জার্নাল-Acta Pediatr Adolescent Med-এ ২০০৮ সালে প্রকাশিত মেটা অ্যানালাইসিসে গবেষকরা দেখিয়েছেন মুখে খাওয়ার প্যারাসিটামল আর পায়ুপথে দেওয়া প্যারাসিটামলের কার্যকারিতা সমান। মেটা অ্যানালাইসিস চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত উঁচুমানের গবেষণা পদ্ধতি হিসেবে স্বীকৃত। আবার কোনো কোনো গবেষণায় মুখে খাবার প্যারাসিটামল সাপোসিটরির চেয়েও ভালো কাজ করার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

মুখে প্যারাসিটামল আর পায়ুপথে দেওয়া প্যারাসিটামলের শুরুর ডোজের কিছুটা ভিন্নতা আছে মুখে খাওয়ার ডোজ ১৫ মিগ্রা/কেজি আর সাপোসিটরি তথা পায়ুপথে দেওয়া প্যারাসিটামলের ডোজ ৩০ মিগ্রা/কেজি। কান্তার ওজন ২০ কেজি শুরুর ডোজ হিসেবে মুখে খাবে ৩০০ মিগ্রা বা ১২.৫ মিলি আর সাপোসিটরি দেবেন ৫০০ মিগ্রা (৬০০ মিগ্রা ওষুধ বাজারে নেই)।

‘আমি তো বোতলের গায়ের বয়স অনুযায়ী লেখা দেখে ওকে ১০ মিলি দিলাম। সে জন্যই তাহলে জ্বর কমছিল না। পরে দিলেও কি একই ডোজ’?

মুখে খাবার ওষুধ দিনে সর্বোচ্চ চারবার, ৪-৬ ঘণ্টা পরপর দিতে পারবেন। সাপোসিটরি দিনে সর্বোচ্চ তিনবার। এটাও ৪-৬ ঘণ্টা পর পর। ওষুধের গায়ে লেখা ডোজ ওই বয়সী বাচ্চাদের গড়পড়তা ওজন ধরে করা হয়। আমি যেটা বললাম সেটা আপনার বাচ্চার ওজন ২০ কেজি হিসাব করে। আপনার দেওয়া একটু কম হয়েছিল। আর এক ডোজেই যে জ্বর নেমে বেইস লাইনে চলে আসবে তেমন কিন্তু না। সাধারণত ২-৩° ফা. কমে।

‘কিন্তু মুখে ওষুধ দেওয়ার পর জ্বর যদি চার ঘণ্টার আগেই আবার বেড়ে যায়। তাহলে কী করব? সাপোসিটরি দিয়ে দেব?’

চার ঘণ্টার মধ্যে পরের ডোজ না দেওয়াই শ্রেয়। সাপোসিটরিও দেওয়া যাবে না; তাহলে তো একই ওষুধ ডাবল ডোজ হয়ে যাবে। এমন হলে গা মুছে দিন হালকা গরম পানি দিয়ে। আপনিও কিন্তু কান্তাকে দিয়েছিলেন। একটু চিন্তিত ভঙ্গিতে মাথা নাড়ালেন। প্যারাসিটামলের দুডোজের ব্যবধান চার ঘণ্টা মুখে বা পায়ুপথে যেভাবেই দেন। তবে ডেঙ্গুজনিত জ্বর না হলে আইব্রুপ্রোফেন জাতীয় ওষুধ দেওয়া যাবে। এটা প্যারাসিটামলের সঙ্গে চার ঘণ্টার মধ্যেও ব্যবহার করতে পারা যাবে। দিনে সর্বোচ্চ ৩ বার।


পর্ব : ২। জ্বর রোগ প্রতিরোধ করে। উচ্চমাত্রার জ্বর ব্রেন ড্যামেজ করে না

‘জ্বর হলে কখন প্যারাসিটামল দেব? মানে, কত জ্বর হলে দেওয়া উচিত?’

বুঝলাম তিনি এখন একটু বিস্তারিত শুনতে চাচ্ছেন। চলুন, তাহলে আগে বুঝে নিই জ¦র কেন ওঠে? শরীরে কোনো ইনফেকশন হলে শরীর নিজেই তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে, অর্থাৎ জ্বর হয়। মনে রাখবেন, জ¦র তৈরি করা কিন্তু জীবাণুর কাজ নয়, শরীরের কাজ। জীবাণুর বংশবৃদ্ধি রোধ এবং জীবাণু ধ্বংস করার জন্য শরীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে। অর্থাৎ জ্বর রোগ প্রতিরোধ করার একটি শরীরবৃত্তীয় উপকারী কাজ। এখন বিশ্বের অনেক বড় শিশু হাসপাতাল জ্বর হলেই ওষুধ দেওয়াকে নিরুৎসাহিত করছে। যেমন টেক্সাস চিলন্ড্রেন হাসপাতাল বলছে তোমার শিশু খারাপ বোধ না করলে ১০২° এমনকি ১০৩° ফা. পর্যন্ত জ্বর কমার ওষুধ দেওয়ার দরকার নেই। [Fever in Children (texaschildrens. org)] আর আমার রোগীদের আমি লিখে দেই ‘জ্বর ১০১° ফা.-এর বেশি হলে ... মিলি প্যারাসিটামল দেবেন। ‘আরেকটা কথা জ¦র না থাকলে ঘড়ি ধরে ছ’ঘণ্টা পরপর প্যারাসিটামল দেওয়া অপ্রয়োজনীয়।

‘কেন, আগে দিলেই তো ভালো। আমার বাচ্চার জ্বর হলে তো দেখতে দেখতে ১০৩-১০৪° ফা. উঠে যায়! মাথায় হাত দিলে পুড়ে যাওয়া অবস্থা! অপেক্ষা করলে জ্বর বেড়ে যদি ব্রেন ড্যামেজ হয়ে যায়?’ মায়ের মুখে স্পষ্ট উৎকণ্ঠা।

বুঝতে পারলাম অধিকাংশ অভিভাবকের মতো ইনিও ‘ফিভার- ফোবিয়া’তে আক্রান্ত। ‘ফিভার-ফোবিয়া’ হচ্ছে জ্বরের জন্য অবৈজ্ঞানিক আর অহেতুক দুশ্চিন্তা। ইতালিয়ান গবেষক ক্যাটালিনা ২০১৯ সালে Acta Pediatrica জার্নালে প্রকাশিত ৪৫৬৬ জন স্বাস্থ্য কর্মীর ওপর করা একটি গবেষণায় দেখিয়েছেন এটা বিশ্বব্যাপী ফেনোমেনন। শুধু বাবা-মা নন, চিকিৎসক-নার্সরাও ফিভার-ফোবিয়াতে ভোগেন এবং অনেক সময় অপ্রয়োজনে জ্বরের ওষুধ প্রেসক্রাইভ করেন। কান্তার মা-ও তাই মেয়ের শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখার ব্যাপারে উতলা।

জ¦র ১০৪-১০৫° ফা. হলেও তা মস্তিষ্কের কোনো ক্ষতি করে না। জ্বর যদি মস্তিষ্কের প্রদাহ বা ইনফেকশনের কারণে হয় (যেমন মেনিনজাইটিস, এনকেফালাইটিস); সে ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের ক্ষতি হতে পারে। ক্ষতিটা কিন্তু মস্তিষ্কের ইনফেকশনের কারণে, জ্বর থেকে নয়। সিয়াটল চিলড্রেন হাসপাতাল বলছে- জ্বর ১০৮ক্ক ফা. হলে থাকলে মস্তিষ্কের ক্ষতি হতে পারে। [Fever-Myths Versus Facts (seattlechildrens. org)] আমার ৩৫ বছরের চিকিৎসক জীবনে এবং আমার দুই শিক্ষক জানালেন, ৫০ বছরের চিকিৎসক জীবনে তারাও কোনো শিশুর ১০৬ক্কফা. জ্বর হতে দেখেননি। সাধারণভাবে জ্বর মস্তিষ্কের কোনো ক্ষতির কারণ নয়।

‘আমার ভাইয়ের ২ বছর বয়সী বাচ্চার জ্বর ১০১° ওঠার সঙ্গে সঙ্গে প্রথম দিনেই খিঁচুনি হয়ে গেল। তাহলে সেটা কী? খিঁচুনি তো মস্তিষ্কের কারণেই হয়। বাচ্চাটা ৪-৫ মিনিট ধরে রেসপন্স করছিল না, চোখ উল্টানো, মুখ দিয়ে লালা পড়ছে। আমরা সবাই আতঙ্কে ঠান্ডা। ভয়ংকর দৃশ্য!’

ভদ্রমহিলার প্রশ্নের ভেতর ঘটনার পরম্পরা ও চিন্তার সাযুজ্য দেখে চমৎকৃত হলাম। মনে হচ্ছিল, আইনজ্ঞের জেরার মুখে আছি। ইদানীং অনেকে মোবাইলে প্রশ্ন লিখে আনেন, কেউ কেউ ইন্টারনেট থেকে তথ্য নিয়ে আসেন, ইনি স্বতঃস্ফূর্ত। এ ধরনের অসুখকে জ্বরজনিত খিঁচুনি বলে। এটা প্রতি ১০০ জন ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে ২-৫ জনের হয়ে থাকে। কারণ এখনো জানা যায়নি। এই খিঁচুনি সাধারণত ৩-৫ মিনিট স্থায়ী হয় (সর্বোচ্চ ১৫ মিনিট)। জ্বরজনিত খিঁচুনির কারণে মস্তিষ্কের ক্ষতি হওয়ার কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। এ ধরনের পরিস্থিতি প্রথমবার হলে অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসক/হাসপাতালের পরামর্শ নিতে হবে মস্তিষ্কের প্রদাহ তথা মেনিনজিটিসের জন্যও এ রকম হতে পারে (জ্বরজনিত খিঁচুনি নিয়ে অন্য কিস্তিতে বিস্তারিত আলোচনা করা যাবে)।


পর্ব : ৩। বেশি জ্বর হলে কি অ্যান্টিবায়োটিক দিলে তাড়াতাড়ি ভালো হয়?

‘গত বছর মার্চ মাসে কান্তার অনেক জ্বর হয় ১০৩/১০৪° ফা.। কাশিও ছিল। জ্বর কমলে সে স্বাভাবিক খেলাধুলা করছে। আবার ৪/৫ ঘণ্টা পরই জ্বর আসছে 103/104°,, বেশি জ্বর বলে দ্বিতীয় দিন থেকে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হলো। তিন দিন পর থেকেই জ্বর নেই। সম্পূর্ণ ভালো। আপনি কি...’

এবার তার কথাটা পুরো না শুনেই বললাম জ্বর বেশি-কম হওয়া রোগ মারাত্মক হওয়া নির্দেশ করে না। কিংবা ব্যাক্টেরিয়াজনিত জ্বর বোঝায় না। অনেক ভাইরাসজনিত জ্বর যেমন ডেঙ্গু, এডেনোভাইরাস ইনফেকশনে জ্বর ১০৪-১০৫° ফা. হয়ে যায়। অল্প জ্বর অনেক সময় মারাত্মক রোগ থেকে হয়ে থাকে, যেমন যক্ষ্মা। মোদ্দা কথা হচ্ছে, কেবল জ্বর নয়, অন্যান্য আনুষঙ্গিক লক্ষণ দেখে এবং অন্যান্য পরীক্ষা দেখে অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করতে হয়।

‘আপনি বলছেন জ্বর ১০১ক্ক না হলে প্যারাসিটামল দেওয়ার দরকার নেই। তাহলে আমার বাচ্চার শরীরের তাপমাত্রা কত হলে জ্বর হয়েছে বলব? ৯৯° ফা. হলে?’

যুক্তরাষ্ট্রের শিশু চিকিৎসকদের পেশাগত সংগঠন আমেরিকান একাডেমি অব পেডিয়াট্রিক্স শিশুর শরীরের তাপমাত্রা ৯৭-১০০° থাকলে সেটাকে স্বাভাবিক বলছে। মানব শরীরে একটা জোয়ার-ভাটার খেলা আছে একে সার্কাডিয়ান রিদম (Circadian Rythm) বলে। এরই টানে শরীরের তাপমাত্রাও বিকেলে (জোয়ারে) বেশি থাকে আর ভোরের আলো ফোটার আগে (ভাটার সময়) সবচেয়ে কম থাকে।

‘জ্বর ১০০° হলেও চিন্তা করব না!’ মা খানিকটা দ্বিধান্বিত।

বিকেলে তাপমাত্রা ১০০° দেখলে উতলা হবেন না। কিন্তু ভোর ৪টায় ১০০ক্ক হলে সেটা কিন্তু জ্বর। সেই যে বললাম সার্কাডিয়ান রিদমের কারণে বিকেলে শরীরের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। তবে আপনার বাচ্চা যদি নেতিয়ে পড়ে, খেলাধুলা বন্ধ করে কেবল শুয়ে থাকে, অস্বস্তি বোধ করে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। একটা কথা মনে রাখা দরকার, তিন মাস বয়সের কম কোনো শিশুর জ্বর হলেই তাকে হাসপাতালে/চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে। এক দিনের জ্বর হলেও। এই বয়সী শিশুদের অল্প জ্বরও মারাত্মক রোগের কারণ হতে পারে।


পর্ব-৪। ডেঙ্গুতে জ্বর কমা থেকেই বিপদের শুরু ‘সব অসুখে জ্বর কমা মানেই সুস্থতা। কিন্তু ডেঙ্গুতে শুনি জ্বর কমে গেলেই আসল সমস্যা শুরু! কেন?’

আপনি ঠিকই বলেছেন। আমরা বর্তমানের ডেঙ্গু আলোচনায় ঢুকে পড়লাম। ডেঙ্গু জ্বরের এই বিষয়টা বেশ বৈপরীত্যের, খানিকটা খাপছাড়া, যা অন্য কোনো রোগের ক্ষেত্রে দেখা যায় না। ডেঙ্গু জ্বরের সময় হাত-পা-শরীর ব্যথা, খাবার রুচি নেই, জ¦র সহজে নামছে না। জ্বর কমে গেলে যেই না একটু ভালো বোধ করছেন। খাবার রুচি ফিরে পাচ্ছেন। আপনার ডাক্তার বলছেন সাবধান। আপনি ডেঙ্গুর ক্রিটিকাল স্তরে প্রবেশ করছেন। আগামী ২৪-৪৮ ঘণ্টার (কারও কারও ক্ষেত্রে ৭২-৯৬ ঘণ্টা) মধ্যে প্রেশার কমে শকে চলে যেতে পারেন। প্লাটিলেট কমে যেতে পারে। রক্তক্ষরণ হতে পারে। বেশি করে পানি, খাবার স্যালাইন, ডাবের পানি পান করেন। নিয়মিত রক্তচাপ (দিনে অন্তত দুবার) মাপুন। নিয়মিত রক্তের সিবিসি (ঈইঈ) পরীক্ষা করুন। অর্থাৎ জ্বর কমে গেলে ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে স্বস্তি নেই। অস্বস্তি শুরু।

‘রক্তচাপ মেপে কী বোঝেন ডাক্তাররা?’

ভদ্রমহিলা আমাকে ৫ম বর্ষ এমবিবিএসের পুরো একটা ক্লাস করিয়ে নিচ্ছেন যেন! রক্তচাপ মাপার মাধ্যমে আমরা দু’ভাবে বুঝতে পারি-১. সিসটোলিক (Systolic BP) রক্তচাপ ৯০ মিমির নিচে নেমে গেলে। ২. সিসটোলিক ও ডায়াসটোলিক (Diastolic BP) রক্তচাপের ব্যবধান ২০-এর চেয়ে কম হলে। যেমন-৯৫/৮০ বা ১১০/৯৫।


লেখক: অধ্যাপক ডা. সাকিল আহম্মদ

শিশু বিশেষজ্ঞ (এমবিবিএস, এফসিপিএস, এমডি)।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024