◾ শেখ আব্দুল্লাহ : মধুমতী নদী বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মাগুরা, ফরিদপুর, নড়াইল, গোপালগঞ্জ ও বাগেরহাটের উপর দিয়ে প্রবাহিত পদ্মা নদীর একটি শাখা নদী। শুষ্ক মৌসুমে নদীটির শান্তশিষ্ট অবস্থা দেখা গেলেও, বর্ষার মৌসুমে এ নদী ভয়াবহ রুপ ধারণ করে। নদীর নাব্যতা হারানোর কারনে অল্প বর্ষায় প্রতি বছর নদীর দুকূল প্লাবিত হয়ে যায় এবং প্রবল স্রোতের কারনে নদীর দুপাশের চাষাবাদের জমি ভেঙে নদীর গর্বে বিলীন হয়ে যায়। আর এ ভাঙনের রুপটা কিছু কিছু অঞ্চলে এতটা মাত্রাতিরিক্ত হারে দাড়ায়েছি যে, চাষাবাদের জমি ভেঙে এখন মানুষের শেষ সম্বল বসতির জমি ভেঙে নদী গর্বে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। আর মধুমতী নদীর প্রবল ভাঙনের এমনই একটি স্থান হলো গোপালগঞ্জ জেলার সুকতাইল ইউনিয়ন। সুকতাইলের ইউনিয়নের কোল ঘেঁসে চলে গেছে মধুমতী নদী। নদীর একপাশে হলো গোপালগঞ্জে সদর উপজেলার সুকতাইল গ্রাম এবং নদীর অপর পাশে হলো নড়াইল জেলার কালিয়া থানার অন্তর্গত পানিপাড়া গ্রাম। নদীর একপাশে পানিপাড়া গ্রামে নদী ভাঙন দেখা না গেলেও , নদীর আরেক পাশে সুকতাইলে ব্যাপক ভাঙন লক্ষ করা যায়। সুকতাইলের অনেক বাসিন্দা এখন নিজ চাষাবাদের জমি হারিয়ে সর্বশান্ত; কিন্তু সর্বনাশী মধুমতী এখনো শান্ত হয়নি, চাষাবাদি জমি ভাঙতে ভাঙতে এখন মানুষের বসতবাড়ীও ভাঙতে শুরু করেছে। আর এমতাবস্থায় সুকতাইল গ্রামের নদীর পাড়ে বসবাসকারি বাসিন্দারা তাদের শেষ আশ্রয়স্থল বসতভিটা নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছেন। কোথায় যাবেন তারা?


তাই কর্তৃপক্ষের কাছে সুকতাইলের সর্বস্তরের মানুষের দাবি মধুমতী নদী ভাঙন রোধ করার জন্য অতিসত্বর ব্যবস্থা নিন, নতুবা যতটুকু সম্ভাব্য নদীর পাড়ের মানুষের নতুন আবাসস্থল নিশ্চিত করুন।  


লেখক: শেখ আব্দুল্লাহ 

তরুণ কলাম লেখক 

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024