আমারও ইচ্ছে ছিল,বৃষ্টিসিক্ত দিনের আলোতে তোমার হাত ধরে বৃষ্টিতে ভিজবো।রাস্তার জ্যাম ঠেলে তোমার হাত ধরে রাস্তা পার হবো।

তোমার অভিমান ভাঙ্গাতে কদমগুচ্ছ কিংবা গোলাপ নিয়ে তোমার সামনে দাঁড়াবো।তোমার মুখের হাসির জন্য পৃথিবীর যাবতীয় দুঃখের সাথে আমি বিদ্রোহ ঘোষণা করবো।

জীবনের বাকিটা পথ,বাকিটা সময় কেবল তোমায় নিজের করে পাওয়ার আনন্দে আমি অনায়াসে কা টি য়ে দিবো।জানো?তোমার মায়া ভরা মুখের দিকে তাকিয়ে আরও হাজার বছর বেঁচে থাকার ইচ্ছেরা আমায় বড্ড পেয়ে বসতো।

জানি,এখনো মাঝে মাঝে শাড়ি পরো,কপালে ছোট্ট কালো টিপ দাও বা না দাও চোখে গাঢ় কাজল কিন্তু ঠিকই লাগাও....

ঐ কাজল কালো জলে ছলছল করা চোখের দিকে তাকিয়ে যুগের পর যুগ বেঁচে থাকার স্বপ্ন আমি না দেখতে পেলেও অন্য কেউ তো ঠিকই দেখে।

জীবনে কতশত দুঃখ পেলাম অথচ দেখো,তোমায় পাওয়া হলো না!শুনেছি,দু'জনের প্রার্থনা কিংবা চাওয়ায় গড়মিল হলে নাকি সৃষ্টিকর্তা মিলায় না।তুমি নাকি ভালোবাসতে খুব,তবে আমায় চাইতে না?

এইসব দুঃখের দিনে,ক্লান্ত নির্ঘুম রাতে তুমি কাছে থাকলে আমি একটুখানি ভালো থাকলেও তো থাকতে পারতাম,বলো....

বৃষ্টি কিংবা রোদ,ঝড় কিংবা নিস্তব্ধ প্রকৃতি,নদীর ঢেউ কিংবা শান্ত সাগরের মতো হৃদয় আমার শুধু তোমাকেই চেয়েছে।তবে তুমি চাওনি!

একটুখানি ভালো থাকবো বলেই তোমাকে ভালোবাসা। তুমি তো ভালোই আছো।আর আমি?ভালো থাকার চেয়ে এখন বেঁচে থাকার জন্যই প্রার্থনা করে যাই।

লেখক : প্রণব মন্ডল, কবি & শিক্ষার্থী ; খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024