|
Date: 2023-06-15 09:34:35 |
সাতক্ষীরার
শ্যামনগর উপজেলার ভুরুলিয়া ইউনিয়নের খানপুরে অবস্থিত আনসার আলী হাসপাতাল নিয়ে দীর্ঘদিন
ধরে চলছে নানা কাহিনী। একের পর এক নাটকের দৃশ্য দেখছে সাধারণ মানুষ। হাসপাতালের প্রকৃত
মালিক কে এই প্রশ্ন সচেতন মহলের। যদিও এই প্রতিবেদকের হাতে একটি পক্ষের স্টাম্পে লিখিত
কাগজপত্র এসেছে। সেই স্টাম্প লিখিত কাগজপত্রে আনসার আলী নামের হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী
হচ্ছে রাবিয়া খাতুন। অথচ তাকে মালিকানা না দিয়ে ক্ষমতা ও রাজনৈতিক প্রভাব দেখিয়ে আনসার
আলী হাসপাতালের দখল নিয়ে নিয়েছে আলহাজ্ব ডঃ আনসার আলী এমনই অভিযোগ ভুক্তভোগীর। যদিও
স্থানীয় সাংবাদিকের কাছে ডঃ আনসার আলী এই সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, আমি একজনের
কাছে এই হাসপাতালের দ্বায়িত্ব দেয় তিনি এখন মালিক হওয়ার পায়তারা চালাচ্ছে।
এই
বিষয়ে হাসপাতালের মালিকানা দাবি করা রাবিয়া খাতুন বলেছেন, ডঃ আনসার আলী তার বিল্ডিং
দশ বছরের জন্য আমার কাছে ভাড়া দেয়। বিল্ডিং ভাড়ার চুক্তি ৬ মাস পর ঐ বিল্ডিং এর দ্বিতীয়
তলা নির্মাণের জন্য আমি আনসার আলীকে জানায়। এ সময় তিনি ৫০ শতাংশ শেয়ার মালিকানা শর্তে
রাজি হয়। আমিও দেখলাম আমার বিনিয়োগের প্রয়োজন। এই জন্যে তার কাছ থেকে কোন টাকা বিনিয়োগ
না নিয়ে তার বিল্ডিং এর দ্বিতীয় তলার কাজ কমপ্লিট করে দেবে এই শর্তে তাকে ৫০ শতাংশ
শেয়ার দেওয়া হয়।
তার
নামে হাসপাতাল কেনো এই প্রশ্নের উত্তরে রাবিয়া খাতুন বলেন, এই হাসপাতালের প্রথমে নাম
ছিল ‘এম কেয়ার হাসপাতাল’। কিন্তু ডঃ আনসার আলীর বিশেষ অনুরোধে কখনও কোন সময়ের জন্যে
এই প্রতিষ্ঠানের মালিকানা দাবি না করার শর্তে একটি চুক্তি পত্রের ভিত্তিতে নাম করন
করা হয়। এক পর্যায়ে ডঃ আনসার আলী ঐ নাম এবং ৫০ শতাংশ শেয়ার মালিকানা চুক্তি পত্রের
উপর নির্ভর করে পুরো হাসপাতালের মালিকানা দাবি করেন। তিনি প্রভাবশালী হওয়ায় এবং ক্ষমতার
প্রভাব বিস্তার করে সাংবাদিকদের মাধ্যমে নিজের মতো মত প্রকাশ করে প্রকৃত মালিককে আড়াল
করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ ভুক্তভোগীর। এ ছাড়া হাসপাতাল ছেড়ে দেওয়ার জন্য
বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী রাবিয়া খাতুন ও তার পরিবারের এবং
ভুক্তভোগী রাবিয়া খাতুন এই ঘটনায় আদালতের দারস্থ হয় বলে জানান। ভুক্তভোগী রাবেয়া খাতুন
তার হাসপাতালের মালিকানা অথবা সুষ্ঠু সমাধান পেতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা
করছেন।
© Deshchitro 2024