|
Date: 2022-09-05 23:53:42 |
◾ সুখবর ও ইতিবাচক ডেস্ক
ভুট্টা সংগ্রহ শেষে জমিতে রেখে দেওয়া হয়েছে ভুট্টার গাছ। দাঁড়িয়ে থাকা সেই গাছে ঝুলছে ঝিঙে। এমনি দৃশ্য দেখা গেছে ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার লেহেম্বা ইউনিয়নের বিরাশি গ্রামে। এখানকার ৬০ হেক্টর জমিতে অভিনব এমন পদ্ধতিতে চলছে ঝিঙে চাষ। এভাবে ভু্ট্টা ও ঝিঙের সমন্বিত চাষে লাভবান হয়েছেন দুই শতাধিক কৃষক।
চাষিরা ঝিঙে চাষে আগে ব্যবহার করতেন বাঁশের কঞ্চি বা মাচা। এখন আর বাড়তি ঝামেলায় যেতে হচ্ছে না তাদের। অভিনব এই পদ্ধতিতে ঝিঙে চাষে খরচও হচ্ছে কম। এতে তাদের লাভ হচ্ছে দ্বিগুণ।
বিরাশি গ্রামের চাষিরা জানান, ভুট্টার ক্ষেতে এক-দেড় মাসের মধ্যে ভুট্টা গাছের পাশে ঝিঙের বীজ রোপন করতে হয়। ভুট্টার পরিচর্যা আর সেচ দিয়েই ঝিঙে গাছও বড় হতে থাকে সমান তালে। ভুট্টার মোচা গাছ থেকে ভেঙে নেওয়ার পর গাছ পরিত্যক্ত অবস্থায় থেকে যায় জমিতে।
সেই গাছের ডাঁটায় ঝিঙে গাছের লতাপাতা বেয়ে ওঠে। এভাবেই ভু্ট্টার গাছগুলো ঝিঙে গাছের খুঁটি হিসাবে ব্যবহার করেন তারা। এতে অতিরিক্ত সার বা সেচ লাগে না। শুধু পোকামাকড় দমনে জন্য কীটনাশক ব্যবহার করতে হয় তাদের।
কৃষক সামসুল আলম বলেন, এবার সমন্বিত চাষ করে ৬০ মণ ঝিঙে পেয়েছি। এ পর্যন্ত বিক্রি করেছি ৫০ হাজার টাকা। এখনও গাছে ফলন আসছে। আশা করি আরও কিছু টাকার ঝিঙে বিক্রি করতে পারব।
একই গ্রামের কৃষক আকতার হোসেন বলেন, ভুট্টা চাষের পর আমরা আগাম আলু চাষ করি। এবার কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে দুই বিঘা জমিতে ভুট্টার ডাঁটায় ঝিঙে চাষ শুরু করেছি। এ পর্যন্ত ২৫ হাজার টাকার ঝিঙে বিক্রি করেছি। ভুট্টা তুলে নেওয়ার পরে এবং আলু রোপণের জমি প্রস্তুত করার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত জমি থেকে ঝিঙে তুলে বাজারে বিক্রি করা যায়। এর আগে আগাম আলু চাষ করার জন্য জমি কিছু দিন এমনিতে পড়ে থাকত। এখন ভুট্টার আবাদের সঙ্গে ঝিঙে চাষ করায় আমাদের খরচ কম হচ্ছে এবং আমরা আর্থিকভাবে বেশ লাভবানো হচ্ছি।
রানীশংকৈল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, উপজেলার দুই শতাধিক কৃষক ৬০ হেক্টর জমিতে অভিনব এ পদ্ধতিতে ঝিঙে চাষ করছেন। এ পদ্ধতিতে ঝিঙে চাষ করলে খরচ খুবই কম হয়। এতে স্বল্প খরচে এক জমিতে দুই ফসলের আবাদ করে দ্বিগুণ লাভ করা যায়।
© Deshchitro 2024