প্রায় ১০ বছর হয় আমি সাংবাদিকতা পেশায় সম্পৃক্ত হয়েছি  দৈনিক দেশেরপত্র, দৈনিক জনতার ইশতেহার ও দৈনিক দেশচিত্র পত্রিকায় একজন প্রতিনিধি  হিসেবে বরিশালে দায়িত্ব পালন করে আসছি, এ ছাড়াও বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, ও বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটির মতো সংগঠনে কাজ করা সহ আরো কিছু পত্রিকাতে প্রায় ৮ শতাধিক সংবাদ প্রকাশ করেছি। যার পেপার কাটিং ও রয়েছে। এর বেশিরভাগ সংবাদই ছিল অপরাধও জনকল্যাণ মূলক। বেতনভূক্ত সাংবাদিক ছিলাম না বিধায় সততা ধরে রেখে সাংবাদিকতা করে জীবন যাপন করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।তাই পাশাপাশি কিছু একটা করার চেষ্টা এবং করেছিও। দেশকে ভালবেসে দেশ জাতির স্বার্থে কাজ করার জন্য নিজেকে নিবেদিত করলাম সাংবাদিকতায়। কিন্তু অন্যদিকে যাদের বিরুদ্ধে অপরাধের সংবাদ প্রকাশ করা হয়, তারা হয়ে উঠে শত্রু। পুলিশরাও আমাদেরকে ভাল নজরে দেখে না। সর্বোপরি সকল দুর্নীতিবাজ,চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসীদের কাছে আমরা হয়ে যাই চক্ষুশূল আর নানা প্রকার হয়রানী,অপমানি সহ নানা ষড়যন্ত্রের শিকার হয় সাংবাদিক সমাজ। আসলে দীর্ঘ ৮ বছর সাংবাদিকতা করতে গিয়ে যা পেলাম, অপরাধীদের বিরুদ্ধে আমরা লিখে কিছুই হচ্ছে না। আর কোনদিন এর নিয়ন্ত্রণও কেউ করতে পারবে বলে আমি মনে করি না। তাই অনিয়ম,দূর্নীতি,অপরাধ করতে আর দেখতে, এদেশের মানুষ এখন সবাই অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। সর্বস্তরে সর্ব পর্যায়ে কিছু অসাধু লোকেরা এখন দেশটাকে যেন নিংড়িয়ে খাচ্ছে। পুলিশ বাহিনীর ও কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে চলছে সবকিছু। মাদকে আজ যুব সমাজ মেরুদণ্ডহীন হতে চলেছে। যারা কিনা দেশের ভবিষ্যৎ,তাদের যদি হয় এই অবস্থা।এখন আবার তাদের পড়াশুনাও একপ্রকার উদ্দেশ্যহীন। করোনা কালে দেশ ও জাতির করুণ ভয়াবহ অবস্থা গিয়েছে।গরীব দূঃখী হতদরিদ্র মানুষগুলো আজ জীবন সংগ্রামে দিশেহারা। বর্তমানে পত্রিকারও তেমন কাটতি নেই, তাই সাংবাদিকদেরও বেহাল দশা। বাংলাদেশে সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে বেতন ছাড়া সাংবাদিকদের ভূমিকার প্রশংসাতো দুরের কথা তাদের হলুদ সাংবাদিক বানানো সহ নানা ষড়যন্ত্রেরও শিকার হতে হয় নিত্যদিন। আমার দৃষ্টিতে এই বেতনবিহীন সাংবাদিকরাই আসল দেশপ্রেমিক ও জনসেবক। দূঃখের বিষয় যে, আজ এই সকল সাংবাদিকদের ধুকে ধুকে নিঃশেষ হতে হচ্ছে আর অপরদিকে চাঁদাবাজ,দূর্নীতিবাজ আর অপরাধীরা হচ্ছে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ।তাই আজ এই পেশার মহত্ব,গুরুত্ব ও সন্মানের জায়গা যেন এদেশ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে।আর এতকিছু দেখে আমি কলম ধরতে একপ্রকার অস্বস্তি কাজ করে। কেননা একজন একজন সত্যনিষ্ট সাংবাদিক সামাজিক উন্নতি করতে পাড়ুক না পাড়ুক কয়েক ডজন শত্রু কিন্তু তৈরি করতে পারে। পৃথিবীর সব মানুষই সুখে এবং দুঃখে সহ প্রায় সব সময়ই সবার মাঝে বেঁচে থাকতে ভালবাসে।এমন মানুষ খুব কমই আছে যে সবার সাথে মিলেমিশে থাকতে চায় না। আর আমিও এর ব্যতিক্রম নই। আর তাই সাংবাদিকতা বা তথ্য সংগ্রহ ও প্রকাশ করা থাকবে আমার পেশাগত দায়িত্ব। বস্তুনিষ্ঠ সমালোচনা বা সংবাদ উপস্থাপনায় আমি আমৃত্যু থাকব নিবেদিত। এটা আমি একজন নাগরিক হিসেবে দায়িত্ব ও কর্তব্য বলে মনে করি। আসলে আমি মানবপ্রেমি এবং মানবসেবী হিসেবে নিজেকে উৎসর্গ করে দিয়েছি। কেননা ” মানবতা সকল ধর্মের উর্ধ্বে ” তাতে কোন সন্দেহ নেই। কোথায় স্বর্গ কোথায় নরক কে বলে তা বহুদুর, মানুষের মাঝে স্বর্গ নরক মানুষেতে সুরাসুর। এই জীবনে যদিও অনেক কষ্টে এবং নানা সমস্যার মধ্যে আমাকে দিনাতিপাত করতে হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই।    


প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024