ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদের মধ্যে পাঁচ দিনের লড়াই মিশরের মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতির পর বন্ধ হয়েছে। গাজা উপত্যকার সীমান্তের দুই পাশে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনে ফিরে আসছে স্বাভাবিক জীবন।


ইসরায়েল গাজার বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য জ্বালানি সরবরাহ চালু করেছে। পণ্য চলাচল এবং বাণিজ্যের জন্য সীমান্ত পারাপার এলাকাও খুলে দিয়েছে। দোকানপাট এবং সরকারি অফিস আদালত আবার খুলেছে। রাস্তায় আবার শুরু হয়েছে মানুষ চলাচল। 


লড়াইয়ের কারণে এ কয়েক দিন রাস্তা হয়ে পড়েছিল জনমানবশূন্য। লড়াইয়ে ৩৪ ফিলিস্তিনি এবং এক ইসরায়েলিও নিহত হয়। ২০২১ সালের ১০ দিনের লড়াইয়ের পর এবারই গাজা সীমান্তের এপার-ওপারের মধ্যে সবচেয়ে বাজে সংঘাত হয়েছে।


গত মঙ্গলবার ভোরের আগে বিমান হামলা চালিয়ে ইসরায়েল গাজা ভূখণ্ডে ইসলামিক জিহাদের কমান্ডারদের ওপর আঘাত হানার ঘোষণা দেওয়া থেকেই শুরু হয় সংঘাত। ইসলামিক জিহাদের কমান্ডাররা হামলার পরিকল্পনা করছে অভিযোগে ইসরায়েল ঐ হামলা চালায়। এর পালটা হামলায় ইসলামিক জিহাদও ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে হাজারের বেশি রকেট ছোড়ে। 


সর্বশেষ পাঁচ দিনের সংঘাতে ইসরায়েল ইসলামিক জিহাদের ছয় জ্যেষ্ঠ কমান্ডারকে হত্যা ও অনেকগুলো সামরিক স্থাপনা ধ্বংস করেছে। সংঘাতে নারী, শিশুসহ গাজার অন্তত ১০ বাসিন্দার প্রাণও কেড়েছে। ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ছোড়া ফিলিস্তিনিদের রকেটে এক ইসরায়েলি নারী ও এক ফিলিস্তিনি শ্রমিক মারা যায়।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024